৯ বছরের সম্পর্ক শেষ করে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ২০১৮ সালে জুভেন্টাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রোনালদোকে রাখার জন্য যা যা করার দরকার ছিল সেটা করেনি রিয়াল মাদ্রিদ। আবার রোনালদোও নিজের মাথা উচু রাখতেই রিয়াল মাদ্রিদের শর্ত মেনে দলটিতে থাকতে রাজি হয়নি।
কিন্তু দিন শেষে তাদের ব্রেকআপের ফলে ক্ষতিটা হয়েছে তাদের দুজনেরই।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো থাকা মানে মৌসুমে ৫০টি গোলের নিশ্চয়তা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। এই পর্তুগীজ তারকার নেতৃত্বে রিয়াল মাদ্রিদ ইউরোপে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল।
রোনালদোর মাঠে সতীর্থদের অনুপ্রানীত করা এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টিই এই মৌসুমে মাঠের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভাব ছিল রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের মধ্যে।
প্রতি ম্যাচেই ফরোয়ার্ডরা সহজ সুযোগ পেয়ে থাকে। এই সহজ সুযোগে রোনালদোর গোল করার হার উঠানামা করত ৪৭ থেকে ৫৫ শতাংশের মধ্যে। অর্থাৎ প্রতি দুটি সুযোগে একটি গোল করতেন রোনালদো।
কিন্তু এই মৌসুমে রোনালদোর আভাব পূরনে যাকে সেরা মানা হয়েছিল সেই গ্যারেথ বেলের গোলের হার হল ২৮ শতাংশ।
যদি চ্যাম্পিয়নস লিগে নজর দেয়া হয় তাহলে দেখা যায় যে, রিয়াল মাদ্রিদ এই মৌসুমে ২৫টি ক্লিয়ার সুযোগ পেয়েছে। যার মধ্যে বেল একাই পেয়েছে ৬টি। গোল করতে পারেনি একটিও। এই সময়ে তাদের গোলের হার ছিল ২৮ শতাংশ।
তবে শুধু রিয়াল মাদ্রিদ নয়, রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ভুগেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নিজেও। রোনালদো এই মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৮ ম্যাচে মাত্র ২৬ গোল করেছে যেখানে মাদ্রিদে তার গোল কোন কোন মৌসুমে ৬০ ছাড়িয়েছে।
এছাড়াও শুধু স্কোরিং নয়, বরং সুযোগ তৈরি করে দেয়ার ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদে যেখানে ম্যাচ প্রতি ১.২টি সহজ সুযোগ পেতেন সেখানে জুভেন্টাসে পেয়েছেন পুরো অর্ধেক ০.৬।
পরিশেষে বলা যায়, দুই পক্ষের সম্পর্কের অবনতির কারণে সময় খারাপ কেটেছে দুজনেরই।