ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টি-টুয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়েছে দুই দলের ব্যাটসম্যানরা। আর এই ব্যাটিং নৃত্যে শেষ পর্যন্ত জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুই দলের এই লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে রেকর্ড ২৫৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের ইতিহাসে আর কখনওই এত রান করতে পারেনি।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে ওপেনার কিং মাত্র ১ রানেই আউট হয়ে যান। কিন্তু মায়ার্স এবং জনসন চার্লস এমন ঝড় তুলেন যে সেই ঝড়ে শুধু বল গিয়ে আছড়ে পড়তে থাকে সীমানার বাইরে।
দুজনের এই দুটি স্থায়ী ছিল ৫৮ বল। ৫৮ বলে রান এসেছে ১৩৫টি। মায়ার্স ২৭ বলে ৫১ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর পুরান ৩ বলে ২ রান করে আউট হন।
কিন্তু জনসন চার্লসের এই তান্ডব থামে দলীয় ১৪তম ওভারের শেষ বলে। ততক্ষনে মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করা চার্লসের সংগ্রহ ৪৬ বলে ১১৮ রান। ১০টি চার এবং ১১টি ছক্কা মারেন তিনি।
এরপর পাওয়েলের ১৯ বলে ২৮ এবং সেফার্ডের ১৮ বলে ৪১, স্মিথের ৫ বলে ১১ রানের কল্যানে ২৫৮ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কিন্তু এই রান তাড়া করতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতেই টপকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-২০তে এটাই রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে এত রান তাড়া করে কেউ জিততে পারেনি।
রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার ডি কক এবং হেনরিকস পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১০২ রান তোলে। পাওয়ার প্লেতে এটাই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
এই দুজনেই দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের ভিত তৈরি করে দেয়। মাত্র ১০.৫ ওভারেই তারা ওপেনিং জুটিতেই ১৫২ রান তোলে। ৪৩ বলে ১০০ রান করে ডি কক আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
আরেক ওপেনার রেজা হেনরিকস ২৮ বলে ৬৮ রান করে আউট হন। এছাড়া রুমো ৪ বলে ১৬, মিলার ১০ বলে ১০ রান করে আউট হন। প্রোটিয়াদের ফিনিশিংটা দেন মারক্রাম এবং ক্লাসেন। মারক্রাম ২১ বলে ৩৮ এবং ক্লাসেন ৭ বলে ১৬ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।