দুই দলেরই শীর্ষ ও সেরা তারকাদের বড় অংশ নেই এ সিরিজে। বাংলাদেশের যেমন অধিনায়ক সাকিব, দুই ব্যাটিং নির্ভরতা মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত, অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ, তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম আর হাসান মাহমুদ বিশ্রামে; একইভাবে নিউজিল্যান্ডেরও ৬ প্রধান ও অপরিহার্য ক্রিকেটার কেন উইলিয়ামসন, টম ল্যাথাম, ডেভন কনওয়ে, ড্যারেল মিচেল ও জিমি নিশাম নেই।
খুব স্বাভাবিকভাবেই দুই দলের বড় তারকারা না থাকায় গোটা সিরিজের আকর্ষণ গেছে কমে। দর্শক উৎসাহ-উদ্দীপনা তুলনামূলক কম। এ কারণেই সিরিজের ফল নিয়েও আগ্রহ অন্য যেকোনো বারের চেয়ে কম।
সিরিজের পরিণতি নিয়ে বাংলাদেশের ভক্ত, সমর্থকদের উৎসাহ ও আগ্রহ আগের চেয়ে কম থাকলেও এ সিরিজে নিজ দলের কয়েকজনের পারফরম্যান্স দেখতে মুখিয়ে আছেন অনেকেই।
সে তালিকায় সবার আগে আছে তিনটি নাম-তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। তারা তিনজন কেমন খেলেন, কী করেন।
তিনজনের কার কি ভূমিকা থাকবে, সেটা নিয়ে সোজাসাপ্টা তেমন কিছু না বলে লিটনের জবাব, ‘আসলে ভূমিকা নিয়ে আমি বলতে চাই না। সেটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।’
তবে মাহমুদউল্লাহকে সাত নম্বরে না খেলিয়ে মিডল অর্ডারে খেলানো হতে পারে, এমন ইঙ্গিত মিললো লিটনের কথায়। ওয়ানডে দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেন, ‘যদি শুরুর দিকে দ্রুত উইকেট পড়ে যায়, রিয়াদ ভাই ব্যাটিংয়ে গেলে ৩০-৩৫ ওভারের গেম থাকলে উনি উনার মতো খেলবেন। এটা বলার দরকার নেই, উনি অনেক ম্যাচিউরড। একই কথা সৌম্যর ক্ষেত্রেও। যেখানেই সুযোগ পাবে তারা রান করার চেষ্টা করবে। শুধু তারা দুজন না, প্রত্যেক ব্যাটারের দায়িত্ব রান করা।’
দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ ও তামিমের ফেরাটা অধিনায়ক হিসেবে তার জন্য সহায়ক, এমনটাই মনে করেন লিটন। তার ভাষায়, ‘দুইজন সিনিয়র খেলোয়াড় থাকলে তো অবশ্যই সব দিক থেকে হেল্প হয়। অনেক দিন পর তারা খেলতে এসেছেন। আমি চাই না কোনো কিছু নিয়ে তাদের চাপ দিতে। তারা গেমটা এনজয় করুক। বাংলাদেশের প্রতিটি ম্যাচেই এনজয় করতে পারলে সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকে।’
আপনার মতামত লিখুন :