গ্রুপ পর্বে নয়টা ম্যাচ, সেমিফাইনালে একটা, মোট ১০টা ম্যাচে একতরফা খেলে জিতেছে ভারত। সেমিতে যদিও নিউজিল্যান্ড আশা দেখিয়েছিল, কিন্তু ভারতের ৩৯৭ রানের পাহাড় টপকানোর সক্ষমতা ছিল না তাদের।
১০টা ম্যাচে টানা জিতে উড়তে থাকা ভারতকে তাদেরই স্টাইলে হারাল অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত করে ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলল অজিরা।
হাইভোল্টেজ ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ৩ উইকেট হারায় ভারত। তবে রোহিত শর্মার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে রানটাকে তখনও স্বাস্থবানই মনে হয়েছে।
ওপেনার গিল আউট হন দলীয় ৩০ রানে। অথচ তিনি আউট হন মাত্র ৪ রান করেই। দলীয় ৭৬ রানের মাথায় রোহিত শর্মা আউট হন। তিনি করেন ৩১ বলে ৪৭ রান।
রোহিতের বিদায়ের পর শ্রেয়াস আয়ারও আউট হন মাত্র ৪ রান করেই। এরপর কোহলি এবং রাহুল দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। তাদের জুটিতে আবারও স্বপ্ন দেখা শুরু করে ভারত।
তবে দলীয় ১৪৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে বিরাট কোহলি আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর নতুন নামা ব্যাটাররা কেউই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। ১৭৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৯ রান করে আউট হন জাদেজা।
জাদেজার বিদায়ের পর ব্যক্তিগত ৬৬ রান করে রাহুলও বিদায় নেন। শেষের দিকে সুর্যকুমার যাদব ১৮, সামি ৬, বুমরাহ ১, কুলদ্বিপ ১০ এবং সিরাজ ৯ রান করলে ২৪০ রানে পৌছায় ভারত।
জবাবে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও হয়েছিল জঘন্য। মাত্র ৪৭ রানেই হারায় তিনটি উইকেট। আউট হন ওয়ার্নার, মিশেল মার্শ এবং স্মিথ।
তবে আরেক ওপেনার ট্রেভিস হেড এবং লাবুসানে মিলে এরপর যেন আঠার মত লেগে যান উইকেটে। এই জুটিতে অস্ট্রেলিয়া পৌছে যায় জয়ের কাছে। কিন্তু মাত্র ১ রান দূরে থাকতে হেড ব্যক্তিগত ১৩৭ রান করে আউট হন। ততক্ষনে তো ভারতের সব আশা শেষ। ম্যাক্সওয়েল মাঠে নেমেই দুই রান নিয়ে খেলা শেষ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :