সব রেকর্ড চুরমার করে দিয়েছেন সৌম্য সরকার। মহাগুরুত্বপূর্ন ম্যাচে এসে ইতিহাস গড়া এক ইনিংসই খেললেন তিনি। আর তার ইতিহাস গড়া ইনিংসে ভর করে শিরোপা জিতে নিয়েছে সৌম্য সরকার।
বল গুলো কেবল বাতাসেই ভাসছিল। আর এই বল গুলো বাতাসে ভাসাচ্ছিল সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচনায় জর্জরিত থাকা সৌম্য সরকার। প্রতিপক্ষ শেখ জামালের বোলারদের বেধরক পেটাচ্ছিলেন তিনি। যেন মনে হচ্ছিল যত রাগ সব ঝাড়তেছেন তিনি।
ছক্কার টর্নেডোটা হবে সেটা প্রথমেও বুঝা যায়নি। ধীরে সুস্থেই অর্ধশতক করেন। কিন্তু এরপরই পাল্টে যায় সৌম্যর রুপ।
ফিফটি করতে ৫২ বল খেলেন সৌম্য। সেখান থেকে সেঞ্চুরিতে পৌছান ৭৮ বলে। ১০৫ বলে পৌছান ১৫০ রানে। ২০০ রানে পৌছান ১৪৯ বলে।
সৌম্যর এই দানবীয় ইনিংসে ১৬টি ছক্কা ও ১৪টি ছিল চারের মার। নিজে অপরাজিত থাকেন ১৫৩ বলে ২০৮ রান করে।
সৌম্যর এমন ব্যাটিংয়ে আড়ালে পড়ে গেছে জহুরুল ইসলামের সেঞ্চুরি। সৌম্যর সাথে ওপেনিংয়ে নামা জহুরুল ১২৮ বলে ১০০ রান করে জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতে আউট হন। এই দুই তারকার ব্যাটে শেখ জামালের দেয়া ৩১৮ রানের টার্গেট ৪৭.১ ওভারেই টপকে যায় আবহানী।
এদিকে এই জয়ের ফলে আবহানী নিশ্চিত করেছে শিরোপা। অন্য আরেক ম্যাচে রুপগঞ্জও হারায় প্রাইম ব্যাংককে। ফলে দুই দলেরই সমান পয়েন্ট হলেও রান রেটে এগিয়ে থেকে শিরোপা নিশ্চিত করে আবহানী।