এবারের আইপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলটি। শেষ ম্যাচে তাদের জিততেই হবে এমন ম্যাচে হেরে যায় তারা।
এই হারের পর ধীরে ধীরে বেড় হতে শুরু হয়েছে কলকাতার ভেতরের গোপন খবর। আর সেই সব খবর দিনেশ কার্তিকদের বিরুদ্ধেই।
মাঠেই দেখা গিয়েছিল কলকাতার দুটো দল হয়ে গেছে। দিনেশ কার্তিকের অধিনায়কত্বে আস্থা ছিল না আন্দ্রে রাসেলের সেটা সে প্রকাশ্যেই বলেছে সংবাদ সম্মেলনে। মাঠেও সুনিল নারিন বা রাসেলের মতামতের কোন ধার ধারেনি কার্তিক। টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়েও রাসেল করেছেন সমালোচনা।
কার্তিক গ্রুপের সাথে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা ছিল ক্যারিবিয়ার গ্রুপেরই। অথচ দলের সেরা দুই ম্যাচউইনার এই ক্যারিবিয়ান দুই তারকা নারিন ও রাসেল। এ বারের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ৫১০ রান করেছেন তিনি। মেরেছেন ৫২টি ছয়। কেকেআরের প্রধান দুই বিদেশির সঙ্গে যে অধিনায়কের একেবারেই বনিবনা হচ্ছে না, সেই ছবি বার বার ধরা পড়েছে।
জানা যায়, কার্তিকের ব্যক্তিগত কোচ অভিষেক নায়ারকে দলে যেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তাতে দলেরই একাংশ খুশি ছিল না। সেই ব্যক্তিগত কোচকেই আবার নাইটদের একাডেমির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ছিল দলটির মেন্টরও। তিনি আবার দলটির শীর্ষ এক কর্তার ঘনিষ্ট। তাই দল নির্বাচনে কার্তিক ও তার কোচের মতামতই প্রাধান্য পেয়েছে সবচেয়ে বেশি। রাসেলদের বলতে গেলে কোন মূল্যই ছিল না।
দল বাদ হওয়ার পর তাই প্রশ্ন উঠেছে, যাদের মতামতের এত গুরুত্ব দিয়েছে, তারা কি খুব সফল ছিল? তাদের সিদ্ধান্ত কি যৌক্তিক ছিল?
রাসেলকে উপরে ব্যাটিংয়ে নামানো দরকার ছিল। এটা বুঝতে কোন ক্রিকেট পন্ডিত হওয়া লাগেনা। কিন্তু সেটাও করেনি তারা। কেন এমন একরোখা হল কার্তিক? উথাপ্পার ফর্ম নেই দেখেও কেন তাকে উপরে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হল? শুভম্যান গিল দারুণ ছন্দে থাকার পরও কেন তাকে শেষের দিকে ব্যাটিংয়ে নামানো হত?
সবকিছু মিলিয়ে টুর্নামেন্টের বিদায়ের পর কোচ সাইমন ক্যাটিচ স্বীকার করেছেন দ্বন্দ্বের কথা। কোচ স্বীকার করেছেন মানেই তো পরিষ্কার, বিষাক্ত ছিল পরিবেশ।