বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে বাংলাদেশকে জয়ের জন্য ২৬২ রানের টার্গেট দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা করেছিল ক্যারিবিয়ানরা। বাংলাদেশি বোলারদের কোন সুযোগ না দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিল তারা। ১৬ ওভার শেষে তারা সংগ্রহ করেছিল বিনা উইকেটে ৮৫ রান।
তবে ১৭ তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই উইকেট তুলে নেন মিরাজ। অ্যাম্ব্রিস মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেন। সেই ক্যাচ যখন মাথার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে তখন পাখির মত উড়ে গিয়ে ক্যাচ ধরেন রিয়াদ।
মিরাজের পর পরের ওভারেই নতুন ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভোকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে সাঁজঘরে পাঠান সাকিব আল হাসান।
এরপরই সাই হোপ এবং রোস্টন চেজ মিলে ১১৫ রানের জুটি গড়েন। শেষে রোস্টন চেজকে (৫১) আউট করে এই জুটি ভাঙেন মাশরাফি।
চেজের পর সেঞ্চুরি করা সাই হোপকেও বিদায় করেন টাইগার অধিনায়ক। ১০৯ রান করে আউট হন সাই হোপ।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেশন হোল্ডারকেও ফেরত পাঠান মাশরাফি। মাশরাফির পর আঘাত হানেন সাইফ উদ্দিন। তিনি ফেরত পাঠান ডরউইচকে।
পুরো ম্যাচে সবার চেয়ে খরুচে বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেই মুস্তাফিজের আত্মবিশ্বাসের জন্য হলেও উইকেট প্রয়োজন ছিল। আর সেটাই যেন দিলেন সাকিব আল হাসান।
রীতিমত উড়ে গিয়ে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ ধরেছেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচের ৪৮তম ওভারে মুস্তাফিজের করা বলে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন কার্টার।
বল চলে যাচ্ছিল বাউ্ন্ডারির বাইরেই। কিন্তু কোথায় থেকে দৌড়ে এসে উড়ে গিয়ে ক্যাচটি ধরেন সাকিব। এটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সপ্তম উইকেট।
৪৯তম ওভারে এসে বাংলাদেশকে আরেকটি সাফল্য এনে দেন সাইফ উদ্দিন। তার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরত যান কেমার রোচ।
শেষ ওভারে ফের বোলিংয়ে আসেন মুস্তাফিজ। এই ওভারে তিনি আরেকটি উইকেট তুলে নিলে ৯ উইকেটে পরিণত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ক্যারিবিয়ানরা ৯ উইকেটে ২৬১ রান সংগ্রহ করে।