জার্মান বুন্দেশলীগায় এবারের মৌসুমের শেষ ম্যাচটি ছিল আজকে। দুটি দলের সামনে ছিল শিরোপা জেতার হাতছানি। একটা বায়ার্ন এবং অন্যটা বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
জার্মান জায়ান্ট বায়ার্নের আধিপত্য বুন্দেশলীগায়। গত ১০ বছর ধরে তারা জিতে চলছে শিরোপা। এবার সেই পথে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বাধা হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু নাটকীয় শেষ দিনে শিরোপাটা বায়ার্নের ঘরেই গেল।
বায়ার্নের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়ে ছিল বুরুশিয়া। আজকে মেইঞ্জের বিপক্ষে জয় পেলেই শিরোপা উঠত তাদের ঘরে। কিন্তু এই ম্যাচে তারা ২-১ গোলে উল্টো হেরেছে।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে ওলসেনের গোলে পিছিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। তবে গোলটি পরিশোধের সুযোগ এসেছিল বুরুশিয়ার সামনে। কিন্তু সেই সুযোগ মিস করেন সেবাস্তিয়ান হালার। পেনাল্টি মিস করেন তিনি।
বুরুশিয়া মিস করলেও সুযোগ হারায়নি মেইঞ্জ। ম্যাচের ২৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করে তারা। বিরতির পর ম্যাচের ৬৯ মিনিটে রাফায়েল গুরেইরো একটি গোল পরিশোধ করে খেলায় ফেরান বুরুশিয়াকে।
কিন্তু কাঙ্খিত দ্বিতীয় গোলটির জন্য তারা প্রানপন চেষ্টা করতে থাকে। সেখানে অবশ্য সফলতা মিলেছিল। ম্যাচের ৯৬ মিনিটে নিকলাস সৌল গোল করেছিলেন এবং সমতায় ফিরিয়েছিলেন বুরুশিয়াকে। ম্যাচে তখন সমতা, কিন্তু লাভ কি? জিততে হবে, আরেকটি গোল করতে হবে। সেই সুযোগটাই তো পেল না বুরুশিয়া। ততক্ষনে খেলার সময় শেষ।
বুরুশিয়ার অবশ্য এই ড্রয়েও শিরোপা জেতা হয়ে যেত যদি বায়ার্ন হারত বা ড্র করত। কিন্তু বায়ার্ন সেই সুযোগ দেয়নি। তারা কোলনকে ২-১ গোলে পরাজিত করে টানা ১১তম শিরোপা ঘরে তুলল।