বুন্দেশলীগায় ৩৩ রাউন্ড শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল বুরুশিয়া। তারা বায়ার্নের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়েছিল। শেষ ম্যাচে তারা নিজেদের মাঠে মেইঞ্জকে হারাতে পারলেই জিতবে শিরোপা এমনটাই ছিল সমীকরণ।
অবশ্য সমীকরণ আরেকটাও ছিল, সেটা হচ্ছে, বায়ার্ন যদি না জিতে তাহলে হারলেও শিরোপা জিতবে বুরুশিয়া। কিন্তু কোন সমীকরণই মেলাতে পারেনি বুরুশিয়া।
বুরুশিয়ার দীর্ঘ ১১ বছর পর লিগ শিরোপা জেতার জন্য প্রস্তুত ছিল ঈদুনা পার্ক। প্রস্তুত ছিল বুরুশিয়ার ভক্তরা। পুরো মাঠকে তারা হলুদের বাগান বানিয়ে ফেলেছিল।
কিন্তু এমন ম্যাচে মাত্র ২৪ মিনিটেই সবকিছুতে জল ঢেলে দেয় প্রতিপক্ষ মেইঞ্জ, এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। এরমধ্যে অবশ্য ম্যাচে ফেরার সুযোগ এসেছিল বুরুশিয়ার, কিন্তু তারা পেনাল্টি মিস করে।
বিরতির পর দুটি গোলই পরিশোধ করেছিল বুরুশিয়া। কিন্তু যতক্ষনে তারা দুটি গোল পরিশোধ করেছে ততক্ষনের ম্যাচের সময় শেষ, অন্যদিকে বায়ার্ন শেষ মুহূর্তে কিছুটা ভরকে গেলেও শেষ পর্যন্ত ঠিকই ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে।
লিগের ৩৪ রাউন্ড শেষে বায়ার্ন ও বুরুশিয়ার পয়েন্ট সমান। কিন্তু গোল ব্যবধানে এগিয়ে শিরোপা জিতল বায়ার্ন। এটা তাদের টানা ১১তম শিরোপা।