ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটের খেলা চলছে। আর তখনই আক্রমনাত্মক আর্জেন্টাইন তারকারা। সেটা ফুটবল নয়, শারীরিক শক্তি প্রদর্শনীতে। একের পর এক ফাউল করতে থাকেন তারা। আর এত ফাউলের মহড়া দেখে স্পেন কোচ রেফারিকে বার বার অনুরোধ করছিলেন ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করে দেয়ার জন্য।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটের মধ্যেই ৬ গোল খেয়ে বসে আর্জেন্টিনা। এরপরই খেলায় নোংরামি ঢুকে পড়ে। একের পর এক ট্যাকল হতে থাকে স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের ওপর। ৮১ মিনিটে অভিষিক্ত মেহা কারভাহালকে পেছন থেকে ট্যাকল করা হয়। ৮৭ মিনিটে কোকেকেও ভয়ংকর এক ফাউল করেন পাভোন। প্রীতি ম্যাচ না হলে দুটোতেই লাল কার্ড দেখার আশঙ্কা ছিল। তবে ইংলিশ রেফারি শুধু হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন। ৮৭ মিনিটে কোকের ওপর ফাউলের পর তো পুরো স্পেন দলই ছুটে এসেছিল এর প্রতিবাদ করতে। স্প্যানিশ অধিনায়ক সার্জিও রামোস ছুটে এসে ধাক্কা দিয়েছেন পাভোনকে।
এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ কিন্তু ৯০ মিনিট হওয়ার আগেই শেষ করে দেন রেফারি। স্পেন কোচের কথা শুনেই হউক, কিংবা অর্থহীন হয়ে পড়া ম্যাচের কথা ভেবেই হউক, এমন বড় দুই দলের লড়াই শেষ হয়ে যায় নির্ধারিত সময়ের আগেই। সুন্দর ফুটবল খেলে আর্জেন্টিনা—এমন কথা হয়তো এমন ঘটনার পর বলা কঠিন হয়ে যাবে!