উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বার্সার মাঠে ৩-০ গোলে হেরেছিল লিভারপুল। সেই ম্যাচে লিভারপুলের গোলকিপার অ্যালিসন অক্ষত রাখতে পারেনি নিজেদের গোলপোষ্ট।
কিন্তু তিনি যে কতটা শক্তিশালী মানসিকতার সেটাই দেখালেন আনফিল্ডে। বার্সার একের পর এক আক্রমন রুখে দিয়ে ম্যাচের অন্যতম নায়ক যে তিনিই।
গত বছর রোমার হয়ে বার্সাকে আটকে দিয়েছিলেন অ্যালিসন। এবার লিভারপুলের হয়ে বার্সার করব রচিত করলেন তিনি।
এদিন আনফিল্ডে ম্যাচের মাত্র ৭ম মিনিটেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। লিভারপুলের এক তারকার শট স্টেগান থামালেও সেটা জমাতে পারেনি হাতে। ফিরতি বলে অরিজির গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল।
১২তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমন থেকে দুর্দান্ত শট নেন মেসি। কিন্তু লাফিয়ে উঠে সেটা আটকে দেন অ্যালিসন। ১৮তম মিনিটে আরেকবার বার্সাকে গোল বঞ্চিত করেন অ্যালিসন। কৌতিনহোর শটে ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দেন তিনি। প্রথার্ধের যোগ করা সময় সবচেয়ে সহজ সুযোগটি আসে জর্দি আলভার সামনে। কিন্তু অ্যালিসনকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেনি এই বার্সা তারকা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সুয়ারেজ পেয়েছিল সুযোগ। কিন্তু এবারও ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দেন অ্যালিসন। ৫৩ মিনিটে উইজনালদামের গোলে লিড ২-০ করে লিভারপুল। ২ মিনিট পরই দুর্দান্ত এক হেডে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে খেলার ব্যবধান ৩-০ করেন লিভারপুলের এই তারকা।
ম্যাচের শেষ মুহুর্তে ভিরগিল ভ্যান ডি ডাইকের মারাত্মক বুদ্ধিদিপ্ত এক কর্নারে অরিজি গোল করলে আনফিল্ডেই বার্সার চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার স্বপ্নের কবর রচিত হয়ে যায়।